আমাদের কথা

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় ছাত্র আন্দোলন তথা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সম্মুখে যেসব নতুন সমস্যা ও প্রশ্নের দেখা দিয়েছিলো তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য ১৯৫২ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় একটি প্রাদেশিক সম্মেলন হয়। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীদের একতাবদ্ধ করতে পারে এমন একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ গণ ছাত্র সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি -এ চার মূলনিতীকে ভিত্তি করে ঢাকার বার লাইব্রেরি হলে পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্মলগ্নে এ-ই সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন কাজী আনোয়ারুল আজিম ও সৈয়দ আব্দুস সাত্তার। এরপর ১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সম্মেলনে মোহাম্মদ সুলতান সভাপতি ও মোহাম্মদ ইলিয়াস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এই সম্মেলনেই সংগঠনের ঘোষনাপত্র ও গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়ন কি এবং কেন?

‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন’ (Bangladesh Students’ Union) একটি স্বাধীন ছাত্র গণ-সংগঠন। ভাষা আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা নিয়ে ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল এর জন্ম। ছাত্র ইউনিয়ন ছাত্রদের এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ছাত্রস্বার্থ রক্ষা ও ছাত্রদের অধিকার আদায়কে অগ্রাধিকার দেয়। সকল শিক্ষার্থীর জন্য বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক গণমুখী ও একই ধারার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র ইউনিয়ন জন্মলগ্ন আপোসহীন লড়াই পরিচালনা করে আসছে। 

গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র

অসাম্প্রদায়িকতা, আপোসহীন নেতৃত্ব, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা, জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রকৃত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র-এই ভিত্তির উপর ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র রাজনীতির এক আপোসহীন বামপন্থী বিপ্লবী ধারার। পাকিস্থান ছাত্র ইউনিয়ন নামের সেই সংগঠনটিই বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালের ১৭, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জাতীয় সম্মেলনে গৃহীত এবং ১৯৬৫ সালে এপ্রিল, ১৬৬ সালের নভেম্বর, ১৯৬৯ সালের জুলাই, ১৯৭০ সালের অক্টোবর, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৩, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ২০০০, ২০০১, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৯, ২০১১, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনসমূহের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র।